রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে বিবিএস জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সময়োপযোগী ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে আসছে। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত মূল নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সঠিক তথ্য ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র ও পৃথক সংস্থা হিসেবে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করেন। বিবিএস কর্তৃক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রকাশে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ও অগ্রগামী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জাতিসংঘঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচক পরিমাপ, বাস্তবায়ন ও অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়া ‘রূপকল্প ২০৪১’, অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২৫), ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর ও চরম দারিদ্র্য নিরসন, চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিবিএস কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্য-উপাত্ত যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে মূল নিয়ামক হিসেবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশের সব খাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।