যুদ্ধ সরঞ্জামে ঘাটতিতে রাশিয়া : ইকোনমিস্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে আসা রুশ সেনাবহর গত তিন দিন ধরে শামুক গতিতে চলছে। কিয়েভের উত্তরে এক কথায় থমকে আছে।

ইউক্রেন আগ্রাসনে রুশ সেনাদের সাঁজোয়া যানের ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বহর কেন এভাবে ধীর গতি এগুচ্ছে তা নিয়ে জোর জল্পনার শুরু হয়েছে।

কারণ আগ্রাসনের ১০ দিন চলছে ইতোমধ্যে। ইউক্রেনও শক্ত প্রতিরোধ গড়েছে। এদিকে ২ মার্চের মধ্যে ইউক্রেন অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটাবেন বলে ঘোষণাও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

কিন্তু কার্যত সেটা দেখা যাচ্ছে না। সাঁজোয়া যানের ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ বহরও গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে।

৩ মার্চ যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন দিনে রুশ সেনাবহরটি বেশি দূর এগোতে পারেনি। বহরটি কিয়েভ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

বহরটি বেলারুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের চেরনোবিলের নিকটবর্তী শহর প্রিবিরস্ক পেরিয়ে আন্তোনভ বিমানবন্দর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

সবমিলিয়ে এটাই স্বীকার্য যে, ইউক্রেনে কাঙ্ক্ষিত সামরিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগুচ্ছে না রুশ সেনাবহর।

কেন এমন ধীর গতিতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে প্রশ্নে ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের দাবি, যুদ্ধ সরঞ্জামের ঘাটতি থাকায় নাকি রাশিয়ার সেনাবহর থমকে আছে। ইউক্রেন যুদ্ধকালীন রুশ সামরিক বাহিনীর জ্বালানি, প্রকৌশল ও যুদ্ধের জন্য অন্যান্য রসদ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ইউনিট সংকটে পড়েছে। অভিযানে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের চাহিদা মতো রসদ ও যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে কিয়েভের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর কয়েক দিন ধরে রুশ বহরটি পথে থমকে রয়েছে।

এদিকে জানা গেছে, কিয়েভগামী রুশ সামরিক বাহিনীকে ঠেকাতে একটি ব্রিজ ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর সেনারা।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের দাবি, রাজধানী কিয়েভ থেকে ৩০ মাইল দূরে অবস্থিত তেতেরিভ নদীর ওপর থাকা ব্রিজটিকে ধ্বংস করে দেওয়ায় রাশিয়ানরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিয়েভের দিকে আগাতে পারেনি।

বহর নিয়ে থেমে যাওয়ার পর রাশিয়া এখন তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবে এবং পুনরায় একত্রিত হয়ে অভিযানের উদ্দেশে রওনা দেবে।

এদিকে ইউক্রেনের মারিউপোল এবং ভলনোভাখা এলাকায় স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া।

বেসামরিক জনগণকে সরিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন