ক্রিকেট কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন শুক্রবার থাইল্যান্ডের একটি শহরে মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। হঠাৎ কি এমন হয়ে গেল যে, মারা গেলেন এই স্পিন কিংবদন্তি। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছেও খবরটি অবিশ্বাস্য ঠেকে।
মৃত্যুর দিন থেকেই বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। যদিও ওয়ার্নের মৃত্যু স্বাভাবিক এবং কোনো ধরনের সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে দাবি থাইল্যান্ড পুলিশের। কিন্তু এখন আবার নতুন এক তথ্য এলো সামনে, যা সেই রহস্যকে আরো ঘনীভূত করে দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর আগে চারজন থাই নারী তার কো সামুইয়ের সামুজান ভিলায় এসেছিলেন। ভিলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল এমন কিছু। তারা কারা? কেন এসেছিলেন?
অবশ্য সেই প্রশ্নে ইংল্যান্ডের পত্রিকা দ্য ডেইলি মেইল বলছে, এ চার থাই নারী পার্লার থেকে এসেছিলেন। শরীর ম্যাসাজ করার জন্যই ওয়ার্ন-ই নাকি তাদের বুক করেছিলেন। একজন নারীকে ওয়ার্নের কাছে পা ম্যাসাজ করতে গেলে যখন ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়, তখন কেউ দরজা খোলেনি এবং এরপরই তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছিল।
ডেইলি মেইল বলছে, দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে তারা ওয়ার্নের ঘরে গিয়েছিলেন। দুই নারী তার ঘরে প্রবেশ করেন। ২.৫৮ মিনিটে তারা ওয়ার্নের ঘর ছেড়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ার্নকে সর্বশেষ জীবিত দেখেছিলেন ওই দুই নারী। ৫.১৫ মিনিটে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ম্যাসাজ করা নারীরা চলে যাওয়ার পর তার বন্ধুরা ঘরটি খুললে শেন ওয়ার্নকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাকে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছিল; কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ওয়ার্ন।
থাইল্যান্ড পুলিশের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিকেল ৫.১৫ মিনিটে মারা যান শেন ওয়ার্ন। ঘরে এমন কিছু পাওয়া যায়নি, যা থেকে তার মৃত্যুকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, অ্যাশেজ সিরিজের কাজ শেষে মনকে ফুরফুরে করতে থাইল্যান্ডে আরও তিনজন বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন।
শুক্রবারও নিজের সব স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন বুঝতে পেরে তার তিন বন্ধু শেন ওয়ার্নকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তখন অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর দ্রুত ওয়ার্নকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানান হোটেল রুমেই মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার এ কিংবদন্তি লেগ স্পিনার।