করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ৬ হাজার ৮০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৭ জনে।
একই সময়ে নতুন করে বিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৯২ জন। এনিয়ে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ১১ জনে।
বুধবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে রাশিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও স্পেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৭১৪ জন। আর ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২৮২ জন। মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা হলো ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯১ জন।
অন্যদিকে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মারা গেছেন ১ হাজার ১২৮ জন। আর ২৯ হাজার ৬৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ ১২ হাজার ৯৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো। আর মারা গেছেন মোট ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬১৫ জন।
এদিকে করোনা শনাক্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮০ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৮ জনে এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৬ জন।
বিশ্বে মোট মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, মেক্সিকো, পেরু, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া এবং স্পেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪৬ জনে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৮ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।