কেউবা একে অপরকে ভালোবেসে, কেউ পারিবারিক সিদ্ধান্তে একই ছাদনাতলার বাসিন্দা হয়েছিলেন। দু’জনের গভীর ভালোবাসাও ছিল। কিন্তু পারিবারিক কলহ, ভুল বোঝাবুঝি, যৌতুক দাবি, নির্যাতন ইত্যাদি নানা কারণে পরিবারে সুখ ছিল না। রাগ-অভিমান এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এমন ৫০ দম্পত্তিকে আবারও পারিবারিক বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রায় ঘোষণার পর আদালতের কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এই ৫০ দম্পতিকে। রায়ের পর তাদের সন্তানদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পৃথক মামলা করেছিলেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ নারী। মামলা দায়েরের পর সুখে ছিলেন না এরা কেউই। সন্তানদের নিয়ে উদ্বাস্তুর মতো দিন কাটিয়েছেন। স্বামীরাও কষ্টে ছিলেন। আদালত কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপস করিয়ে দিয়েছেন।
আদালতের আপসনামায় ৫০ দম্পতি অঙ্গীকার করেন সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবেন। স্বামী তার স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনো স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।