শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেত। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণের মধ্যে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি তা দেননি। তিনি ভবিষ্যৎদ্বাণী করতে পারতেন। এর ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ নিতেন।
বুধবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যৎ পড়তে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস বোধ ছিল বলে বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখাচ্ছেন। বাঙালির কি চাওয়া, তাদের দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, একজন মহানায়ক দেশে বারবার আসেন না, একবার জন্মান। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই মহানায়ক। তার মতো করে এমন ত্যাগ আর কেউ করতে পারেনি। তিনি আমাদের আশ্রয় ও পথ চলার নির্দেশদাতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নতরাষ্ট্রের ভীত স্থাপন করেছেন।
সাংবাদিক ড. হারুন রশীদ বলেন, পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর রাজধানীতে যানজট বেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।