এবছর হজে বাংলাদেশিদের শতভাগ ভিসা দেবে সৌদি আরব। হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সম্পন্ন হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার দুপুরে দুই দেশের প্রথম রাজনৈতিক পরামর্শক সভা শেষে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ একথা বলেন। এরআগে সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রাজনৈতিক পরামর্শক সভা বেশ ভালো হয়েছে মন্তব্য করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সৌদি আরব বেশ গর্বিত। দুদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদি। আমাদের রাজনৈতিক পরামর্শক সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, আমরা আমাদের ভিশনের বিষয়ে সম্পূর্ণ এক পথে রয়েছি।
এতদিন বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়া মুসল্লিদের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সৌদি আরব পৌঁছে বিমানবন্দরে সম্পন্ন হতো। এতে একদিকে সময় ডেত অন্যদিকে বেশ জটিলতা ও দুর্ভোগ পোহাতে হতো মুসল্লিদের।
তবে এবার ইমিগ্রেশনের জটিলতা এড়িয়ে মুসিল্লারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য গোটা ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই শেষ করতে সম্মত হয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্থিতিশীল তেলের বাজার নিশ্চিত করতে তার দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল সরবরাহের বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ নেই। সকল নির্দেশনাই বলছে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ নেই।
দুদেশের মধ্যে হওয়া প্রথম এই রাজনৈতিক পরামর্শক সভায় অনেকগুলো বিষয় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সৌদি আরব সবুজায়ন নিয়ে কাজ করছে। তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ৫ হাজার কোটি গাছ লাগাবে। এখানে অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশ গাছ দেওয়ার পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রস্তাব করেছে।
মোমেন বলেন, বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরব এ বিষয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশও খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করবে। বিভিন্ন দেশে সৌদি আরব কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের বিষয়ে যেসব কাজ করছে সেখানেও অংশীদার হতে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে সকাল সাড়ে ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দ্বিপক্ষীয় সভা শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা সই হয়।
বৈঠকের পর দুপুরেই সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ ঢাকা ছেড়ে যান। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন তাকে বিদায় জানান।