নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকালে এক যুবকের মরদেহসহ সাত জনের মরদেহ উদ্ধারের পর আরও পাঁচজন নিখোঁজের তথ্য জানায় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মত ও পথকে এসব তথ্য জানান।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, তাদের কাছে নিখোঁজের তালিকায় পাঁচজনের নাম রয়েছে। এরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের হাতেম আলী, শিশু আরোহী, আব্দুল্লাহ আল জাবের, জোবায়ের হোসেন ও সোনারগাঁওয়ের উম্মে খায়রুন ফাতেমা।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূঁইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী ও গজারিয়ার ইসমানিরচর গ্রামের বাসিন্দা রাম রাজবংশীর মেয়ে সূতী (১৮)।
এর আগে ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি ‘৫৫ হাত’ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আল আমিন নগর এলাকায় রেখেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। চর সৈয়দপুরের আল আমিন নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। কিন্তু পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তের মধ্যেই ডুবে যায়।