মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। দেশটিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধানসহ সামরিক কর্মকর্তা ও যারা অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিরোধিদের ওপর দমনপীড়ন পরিচালিত করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, মিয়ানমারের অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া আগেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অস্ত্র ব্যবসায়ী তাই জোর নিয়ন্ত্রিত দুইটি প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
গত বছর বড়দিনের প্রাক্কালে দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাজ্যও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যারা মিয়ানমারের বিমানবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কারণ মিয়ানমারের বিমানবাহিনী সেখানের গ্রামগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় পিছিয়ে নেই কানাডাও। শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে দেশটি। এবার কানাডা মিয়ানমারের চার ব্যক্তিসহ দুইটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভূত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৩শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।