গত ২০ বছরে তিন দফা দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেও সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। অবশেষে ২০২২ সালে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নিজের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমেই মাহমুদুল হাসান জয় জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেলেন।
ডারবানের কিংসমিডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ২৬৯ বল খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটার। দলের অন্যদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই দলের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫২ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও ১১৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মাহমুদুল জয় ১০২ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
গত বছর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জয়ের। সেই ম্যাচের দুই ইনিংসে তিনি করেছিলেন ০ ও ৬ রান। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২২৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে নিজের সামর্থ্যের জানান দেন তিনি।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে খেললেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। শুধু পঞ্চাশ পেরিয়েই থেমে যাননি তিনি। নিজের ফিফটিকে রূপ দিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে। ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ইনিংস খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন জয়।
কিংসমিডে শুরু থেকেই ধৈর্য্যের মূর্ত প্রতীক হয়ে খেলছিলেন জয়। প্রথম ৫০ করতে তিনি খেলেন ১৭০ বল। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ফিফটিটি করেছিলেন ১৬৫ বলে। আজ আরও ৫ বল বেশি খেলে পঞ্চাশ করার পর হাত খোলেন তিনি।
তাই তো পরের পঞ্চাশ করতে জয়ের লেগেছে মাত্র ৯৯ বল। এই পঞ্চাশে পাঁচটি চারের সঙ্গে ছিল একটি বিশাল ছয়ের মার। সবমিলিয়ে ২৬৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ের মারে সেঞ্চুরি করেছেন জয়। তার ব্যাটেই এখন প্রোটিয়াদের কাছাকাছি যাওয়ার আশা বাংলাদেশের।