ইউক্রেনের পশ্চিম দিকে অবস্থিত দোনবাসের বাসিন্দাদের সুযোগ থাকা অবস্থায় সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকার। কারণ এই প্রদেশে বড় ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রুশ সেনারা।
রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও এর আশপাশ থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তাদের দোনবাসে জড়ো করছে।
এই দোনবাসে রয়েছে কয়লা ও স্টিলের পুরনো খনি ও কারখানা।
এই দোনবাসেই রয়েছে দোনেস্ক ও লুহানেস্ক। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার আগেই দোনেস্ক ও লুহানেস্কের অনেকটাই রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে রয়েছে।
এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পুরো দোনবাস দখল করার পরিকল্পনা করছেন।
গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এখন দোনবাস নিয়ে পুতিনের লক্ষ্য হলো এটি পুরোপুরি দখল করা এরপর এটিকে ক্রিমিয়ার মতো রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করা।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে জোর করে ক্রিমিয়ার দখল নিয়ে নেয় রাশিয়া। এরপর সংবিধান সংশোধন করে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন পুতিন। বর্তমানে এটি তাদের দখলেই রয়েছে।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করা ২৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন দোনেস্ক ও লুহানেস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এর কয়েকদিন পর লুহানেস্ক ও দোনেস্কের মস্কোপন্থী নেতারা জানান তারা রাশিয়া ফেডারেশনের সঙ্গে যোগ দিতে চান।
সূত্র: বিবিসি