ইমরানকে সরানোর নেপথ্যে কারা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

মত ও পথ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র জ্যালিনা পোর্টার। ছবি : সংগৃহীত

অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়া ইমরান খান আগে কয়েকবার বলেছেন, তাঁর স্বাধীন বৈদেশিক নীতি ‘বিদেশি শক্তিদের’ নাখোশ করেছে। আর এসব শক্তিই তাঁর বিরোধীদের অর্থ দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এ অভিযোগ ‘একেবারেই সত্য নয়।’ খবর ডনের।

গতকাল শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ১২টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরু হয়। এর কিছু সময় পর ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়। অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। ৩৪২টি আসনের জাতীয় পরিষদে প্রস্তাবটি পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২টি ভোট।

গত শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান তাঁর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবার তুলে ধরেন। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার হুমকির বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।

এর আগে ইমরান খান সেই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খানকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন।

ইমরান খানের এ অভিযোগের পর শুক্রবার রাতেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র জালিনা পোর্টার বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অসত্য।

জালিনা পোর্টার আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানের সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। দেশটির সাংবিধানিক সব ধরনের পদক্ষেপকেই আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমরা জড়িত নই।

শেয়ার করুন