বগুড়ার কাহালু উপজেলায় রিকশাচালক একরাম হোসেনের (৩০) গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাহালু থানা-পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের কলমাশিবা গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারের এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন কলমাশিবা গ্রামের নীলু চন্দ্র প্রামাণিক (৪৫) এবং তাঁর ছেলে সঞ্জিত চন্দ্র প্রামাণিক (২২)। নীলু পেশায় মুদিদোকানি এবং সঞ্জিত পেশায় মোটরসাইকেল মেকানিক।
বাবা-ছেলেকে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কাহালু উপজেলায় কলমাশিবা গ্রামে সিগারেট কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে একরাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, কাহালুর কলমাশিবা এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বিরোধ আছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী দলের সদস্য। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কাহালু উপজেলায় কলমাশিবা গ্রামে সিগারেট কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে একরাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুলিবিদ্ধ একরাম হোসেন কলমাশিবা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রিকশাচালক ও সিমেন্টের খুঁটি প্রস্তুতকারী কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় একরামের স্ত্রী কুলসুম খাতুন বাদী হয়ে কাহালু থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় একই গ্রামের শামিম হোসেন নামের একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানের বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, একরাম হোসেন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে কাহালু উপজেলার কলমাশিবা গ্রামের নিলু চন্দ্রের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র তৈরির সন্ধান পায় পুলিশ।
কাহালু থানা-পুলিশ নীলু চন্দ্রের বাড়ির শৌচাগারসংলগ্ন মাটির নিচ থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করে। গ্রেপ্তার করা হয় নীলু চন্দ্র ও তাঁর ছেলে সঞ্জিত চন্দ্রকে। পরে কাহালু থানা-পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে।