জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর সভায় কিছু বলা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে না। এ সময় লঞ্চ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড এবং পণ্যবাহী নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সঙ্গে লঞ্চমালিকদের ঈদ প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১০ এপ্রিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ঈদের সময় লঞ্চে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো ও তা সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা–সমালোচনা দেখা দেয়।

সম্প্রতি কয়েকটি লঞ্চের কেবিনে দুর্ঘটনা ঘটার ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ভ্রমণকারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তবে রোববারের বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো ও সংরক্ষণ করা নিয়ে লঞ্চমালিকদের কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিআইডব্লিউটিএ। যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করার জন্য টেলিভিশনে স্ক্রলসহ গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে বিআইডব্লিউটিএকে প্রস্তাব দেন লঞ্চমালিকদের প্রতিনিধিরা।

সভায় অন্তত ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রির জন্য বলা হয় মালিকদের। এ ছাড়া ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা, লঞ্চের মাস্টার ব্রিজসহ ছাদে যাত্রী না নেওয়া, মাঝনদীতে লঞ্চ দাঁড় করিয়ে নৌকা দিয়ে যাত্রী না ওঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঈদের বিশেষ লঞ্চ চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে দেশের সব নদীবন্দরে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনসহ নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সহসভাপতি আবুল কালাম খান, লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন