শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ: একাধিক সংগঠনের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১৯৮২-৯০ স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ একাধিক সংগঠন।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অতীত ঐতিহ্য জাতীয় অগ্রযাত্রার কথা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যুগে যুগে ইতিহাসের ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

universel cardiac hospital

তারা বলেন, গতকাল (সোমবার) রাত থেকে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা দেশবাসীর সঙ্গে আমাদেরও উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা মনে করি প্রশাসনের সঠিক সময় হস্তক্ষেপ না করায় পরিস্থিতিকে জটিল হয়েছে। প্রশাসন আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ঘটনা এতোদূর নাও গড়াতে পারতো। আমরা উভয় পক্ষের সমস্যাবলী অসন্তোষ নিরসনে দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে আরও সতর্কতার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও পরিস্থিতি শিথিল করতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে সই করেন- নাজমুল হক প্রধান, মোস্তফা ফারুক, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আখতার সোবহান মাশরুর, আমিনুল ইসলাম, মনসুরুল হাই সোহন, সুজাউদ্দিন জাফর, মুখলেছউদ্দিন শাহীন, হারুন মাহমুদ, রাজু আহমেদ, সালেহ আহমেদ, জায়েদ ইকবাল খান, কামাল হোসেন বাদল, বদরুল আলম প্রমুখ।

অপরদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, গত দুদিন যাবত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, ঢাকা কলেজসহ ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেশের অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐতিহাসিকভাবে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। মূলত একই এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে জটিলতা হলেও তা দ্রুত সময়ে নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও গত দুদিন থেকে সংগঠিত ঘটনাটি উপযুক্ত সময়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়া জটিল হয়ে উঠেছে। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে উভয় পক্ষের আরও সংযমী হওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রশাসনের সতর্ক পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে দ্রুততম সময়ে শান্তিপূর্ণ করবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও সজাগ ও সহানুভূতিশীল হবেন।

শেয়ার করুন