মূল্যস্ফীতি দেড় বছরে সর্বোচ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মূল্যস্ফীতি
ফাইল ছবি

টানা ১৭ মাসের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে মূল্যস্ফীতি। শতাংশের হারে তা ৬.২২ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৬.১৭ শতাংশে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে টানা ছয় মাস বাড়ার পর জানুয়ারিতে কমেছিল এই সূচক।

ফেব্রুয়ারিতে তা আবার বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করে সেখানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ঠিক কেন মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। গ্রাম হোক আর শহরই হোক বাজারের বাস্তব প্রতিফলন বিবিএসের তথ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তাই এ ক্ষেত্রে তিনি বিবিএসের তথ্য সংগ্রহে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা দূর করার পরামর্শ দেন।

বিবিএসের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দেড় বছর পর গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে ৬.০৫ শতাংশে ওঠে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমে ৫.৮৬ শতাংশে নেমে আসে।

মার্চ মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি ৬.৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.০৪ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে; গ্রামে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.৫২ শতাংশ। আর শহরে হয়েছে ৫.৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় পণ্যমূল্য বেড়েছে বেশি।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.৭১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.১৫ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬.৬২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬.২৫ শতাংশ।

মার্চ মাসে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৪৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৯০ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫.৩০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫.৯১ শতাংশ।

শেয়ার করুন