ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণ সাগরে গত ১৪ এপ্রিল ডুবে যাওয়া রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা ডুবির ঘটনায় প্রথমবারের মতো হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তাদের একজন নাবিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ হয়েছেন আরও ২৭ জন নাবিক। উদ্ধার করা হয়েছে বাকি ৩৯৬ জন নাবিককে। খবর আলজাজিরার।
জাহাজটিতে নিজেদের নির্মিত জাহাজ বিধ্বংসী নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানায় ইউক্রেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও নৌযানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়।
ওই সময়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল, যুদ্ধজাহাজটির আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মস্কো দাবি করে, আগুন ধরে যাওয়ার পর একপর্যায়ে ঝড়ের কবলে পড়ে সেটি ডুবে যায়।
রাশিয়া জানিয়েছিল, গোলাবারুদের মজুতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পর মস্কভাকে বন্দরে টেনে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় সাগর উত্তাল থাকায় ডুবে যায় মিসাইল ক্রুজারটি। তবে ইউক্রেনের দাবি, মস্কভায় তারা জাহাজবিধ্বংসী দুটি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের নেতৃত্বে ছিল মস্কভা। যুদ্ধজাহাজটি হারানো রাশিয়ার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে জাহাজে আগুন ধরে যাওয়া ও ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এত দিন হতাহত হওয়ার কোনো কথা জানায়নি রাশিয়া। এ নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে দ্বিতীয় কোনো বড় যুদ্ধজাহাজ হারাল রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলায় রুশ নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর বহরের নেতৃত্ব দিচ্ছিল মস্কভা। যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী।