বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা কাজ করতে চাই, আমরা মানুষের খেদমত করতে চাই। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন ক্ষমতায় ছিলেন সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে তেমন কাজ করতে পারেন নাই, কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি মানুষের পূনর্বাসন করতেই ঐসময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত বিএনপিসহ যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউই এই অঞ্চলে বলার মতো কোনো কাজ করেনি।
২২ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের নব নির্মিত তিনতলা ভবনের উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা কেউ জানেনা যে আমি তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে হয়তোবা গিয়েছি, এই এলাকায় নৌকা দিয়ে ঘুরেছি। পূর্ব এলাকাতে (বিজয়নগর উপজেলা) কী অবস্থা ছিল? বেশিরভাগই ছনের ঘর, কদাচিৎ দু-একটি টিনের ঘর ছিল। রাস্তার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমি যখন প্রথম নির্বাচন করি, রামপুর দিয়ে যখন আমি মাঠে নামি, সেসময় রামপুরের সামান্য একটু জায়গায় রাস্তা ছিল, তখন সেখানকার মহিলারা আমাকে জবরদস্ত করে বললেন- আপনি যদি কথা দেন যে এই রাস্তাটি করে দিবেন তাহলে আমরা সবাই আপনাকে ভোট দিব। আমি কথা দিয়েছিলাম এই রাস্তাটা হবে এবং আমি নির্বাচিত হয়ে এই রাস্তাটি করি, মাঝখানে ভেঙেচুরে গিয়েছিল, সেটাও দেখলাম আজকে সুন্দর হয়েছে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তাজু (পত্তন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম) যখন এই স্কুলটা করে, তখন থেকেই আমি সহযোগিতা করেছি, খুবই কষ্ট করতে হয়েছে তখন আমাদেরকে। তখন আমরা চিন্তা করি নাই এখানে চারতলা বিল্ডিং হবে কিন্তু আমরা একটি চারতলা এবং আরেকটি তিনতলা বিল্ডিং করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু এটি হাওর এলাকা সেহেতু বন্যার সময় আশ্রয়ের জন্য আপনারা দুইটা বিল্ডিংকেই কাজে লাগাতে পারবেন।
মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, আপনাদের ছেলেমেয়েদের পড়ার জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কাজেই আপনারা দয়া করে আপনাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল পাঠান এবং তাদেরকে মানুষ বানানোর চেষ্টা করুন।
এসময় তিনি স্কুলটিতেই বিজ্ঞান শিক্ষা চালুর তাগিদ দিয়ে বলেন, সাইন্স ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেরই উন্নতি হয় না, সাইন্স একমাত্র মোল্লারাই পড়ায় না, কারণ তারা সাইন্সকে ভয় পায়।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে নির্বাচন হবে। আমাদের খেদমত অব্যাহত পেতে হলে সেই নির্বাচনে আমাদেরকে ভোট দিতে হবে। কেননা আমরা ক্ষমতায় থাকলে রাস্তাঘাটের আরও উন্নয়ন হবে, এরকম বিল্ডিং হবে, পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশ হবে, আমরা না থাকলে কী হবে সেটি শুধু বিএনপি ও এরশাদের আমলটা একটু খোঁজ করে দেখবেন। বিএনপির হারুন সাহেব একসম রিলিফ প্রতিমন্ত্রী (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী) ছিলেন কিন্তু কোনো কাজ করেননি।