নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ছটফট করতে করতে চিকিৎসার অভাবে এক রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকাল আটটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ কেউই কর্মস্থলে ছিলেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া ওই রোগীর নাম সালাউদ্দিন মিরন (৫৫)। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন।
ঘটনা জানার পর জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসকসহ তিনজনকে তাৎক্ষণিক ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালে বদলি করেছেন। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তিনি। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহত নিরাপত্তাকর্মী সালাউদ্দিন মিরনের গ্রামের বাড়ি হাতিয়ার তমরুদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব খিরদিয়া গ্রামে। মৃত্যুর সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সোহেল রানা।
সোহেল অভিযোগ করেন, আজ সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তার বাবা সালাউদ্দিন মিরন হাতিয়া উপজেলা সদরের দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সংস্থার লোকজন ও তিনি তার বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্য কেউ ছিলেন না।
সোহেল রানার অভিযোগ, এরপর তিনি বাবাকে জরুরি বিভাগে রেখে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আন্তবিভাগে যান নার্সদের খোঁজে। সেখানেও কোনো নার্স বা ওয়ার্ডবয়কে পাননি। এ পরিস্থিতিতে তার বাবা সকাল আটটার দিকে ছটফট করতে করতে তার কোলেই মারা যান।