ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতা মো. বাবুলের বিরুদ্ধে ক্ষু্দ্র জাতিগোষ্ঠীর জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্ত পুলক ‘সহযোগিতা’ করছেন বলে অভিযোগ ক্ষু্দ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজনের। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের চৌরাস্তায় ‘জাতীয় আদিবাসী পরিষদ’ ও ‘আদিবাসী ওঁরাও সংগঠনের’ ব্যানারে এসব কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তায় এসে জড়ো হন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন। পরে সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি যাকোব খালকোর সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন চৌধুরী, আদিবাসী ওঁরাও সংগঠনের উপদেষ্টা সুবাস কুজুর, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সদস্য নয়মী টপ্য, জসপিনা এক্কা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আদিবাসী পরিষদের নেতারা বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. বাবুল ও তার সহযোগীরা নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করে এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
এর অংশ হিসেবে গত ১৭ এপ্রিল এলাকার কালোদীঘি কালীমন্দিরের পাশের একটি পুকুর দখল নিতে চেষ্টা চালান বাবুল ও তার লোকেরা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন প্রতিরোধ করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৭ এপ্রিলের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ এনে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর বাবুলের নেতৃত্বে এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বাবুল হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। পরে সেখান থেকে বাবুলকে আটক করে পুলিশ।
আদিবাসী পরিষদের সদস্য জসপিনা এক্কা বলেন, কাউন্সিলর বাবুলসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা-মামলা দিয়ে তাদের জমি দখলে নেওয়া চেষ্টা করছেন। তারা জীবন দেবেন, তবু জমি দখল নিতে দেবেন না।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন। সেখানে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।