ব্যাংক ঋণের ১২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার সহকারী কর্মকর্তা (অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার) কাজী হাবিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন হাবিবুর। বিচারক মাহমুদা খাতুন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, পাট কেনার জন্য সোনালী ব্যাংক থেকে ২০১০ সাল থেকে সিসি প্লেজ ও সিসি হাইপো খাতে দফায় দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মেসার্স সোনালী জুট মিল। কিন্তু এর বিপরীতে মালামাল ক্রয় না করে ওই টাকা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
বর্তমানে সুদাসলে ওই টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা। এ ঘটনায় দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মেসার্স সোনালী জুট মিলের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা, উপমহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান।