রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় নেই আজ। ঈদের ছুটি শুরু হলেও ট্রেনে নেই গাদাগাদি ভিড়। ছাদে যাত্রী নেই। সময়সূচি মেনে চলছে ট্রেন। শনিবার সকালে দুটি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হলেও সিডিউল বিপর্যয় হয়নি।
শনিবার সকাল ১১ থেকে তিন ঘণ্টা কমলাপুরে অবস্থান করে এ চিত্র দেখা যায়। এবারের ঈদযাত্রায় টিকিট দেখিয়ে যাত্রীদের ঢুকতে হচ্ছে স্টেশনে। সে কারণেই ভিড় নেই কমলাপুরে। চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকায় কমলাপুরে টিকিট ছাড়া প্রবেশ সহজ নয়।
কমলাপুর থেকে ফাঁকা ছাড়লেও দিনাজপুরের দ্রুতযান এক্সপ্রেসে টঙ্গী, জয়দেবপুরে হাজারখানেক যাত্রী উঠেন। শোভন চেয়ার কামরায় ভিড়ে একজনের গায়ের ওপর আরেকজন উঠে পড়েন। স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকলেও, এসি কামরাতেও শতশত দাঁড়ানো যাত্রী ছিল। শৌচাগারের ভেতরে পর্যন্ত যাত্রী ছিল। রেলের কর্মীরাই টাকার বিনিময়ে এসি কামরা, খাবার বগি, দুই বগির মাঝে এবং কেবিনের সামনের করিগরে যাত্রী তুলছেন।
নির্ধারিত সময় ঠিক সোয়া একটায় কমললাপুর থেকে যাত্রা করে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। কিছু আসন খালি রেখে কমলাপুর ছাড়ে। ট্রেন থেকে টিকিটবিহীন যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেন নিরাপত্তা কর্মীরা।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, খুবই স্বস্তির হচ্ছে এবারের ঈদযাত্রা। কমলাপুরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত বলে টিকিটবিহীন যাত্রীরা ঢুকতে পারছেন না। পরের স্টেশনগুলোতে অবশ্য ভিড় হচ্ছে।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৮ টি ট্রেন ছাড়ে। দুটি বাদে বাকিগুলো নির্ধারিত সময়ে ছাড়ে। রাজশাহীর ধূমকেতু ৪০ মিনিটে বিলম্বে ছাড়ে। সকাল ছয়টা ৪০ মিনিটের দ্রুতযান এক্সপ্রেস সাড়ে আটটায় ছাড়ে। মাসুদ সারোয়ার বলেন, দ্রুতযান ফিরেছে দেরিতে। সাড়ে সাতটায় ঢাকায় এসেছে। তাই ছাড়তেও দেরি হয়েছে।