ঢাবিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ

ঢাবি প্রতিনিধি

সাবেক অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে নানা স্তরের মানুষ এই জানাজায় অংশ নেন। সেখান থেকে দাফনের জন্য মরদেহ নেওয়া হবে আবদুল মুহিতের জন্মস্থান সিলেটে।

জানাজার আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে ছিল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট।

universel cardiac hospital

সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে। আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

গুলশানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ অন্যান্যরা।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাসৈনিক ছিলেন। আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টানা দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মুহিত। এরশাদ সরকারের আমলে দুটিসহ বারোটি বাজেট দিয়ে রেকর্ড তৈরি করেন তিনি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুহিত। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এক লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। ক্রমান্বয়ে বাজেটের আকার বাড়িয়ে যাওয়ার আগে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়ে যান তিনি।

আবদুল মুহিত ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন। পরের বছর একই বিষয়ে অর্জন করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদে ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি যোগ দেন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে (সিএসপি)।

১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকার সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন মুহিত। এরপর প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাঁকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ দেওয়া হয়। তাঁর লেখা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৪০টির মতো বই রয়েছে।

শেয়ার করুন