পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে ফিরছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ। ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ তেমন না থাকলেও ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসময় মোটরসাইকেলে শিশু, নারীসহ দুই থেকে তিন জনকে যেতে দেখা যায়।
এছাড়া লঞ্চেও পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন কর্মস্থলমুখীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি ও ২১টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ঘাট এলাকায় ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় পায়ে হাঁটা যাত্রী, ছোট গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অল্প কিছু যাত্রীবাহী বাসকে। ঘাটে ৩০ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতেই বাসের সঙ্গে ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার হচ্ছে।
মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন, নান্নু মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, মোটরসাইকেলে যাওয়া ঝুঁকি হলেও তারা সুবিধা মনে করেন। কারণ সিরিয়ালে অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সময় কম লাগে।
প্রাইভেটকারচালক নুরুউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ঘাটে বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। ফেরি আসলেই উঠতে পারছেন। আর ঘাটে ফেরি না থাকলে একটু সময় বেশি লাগছে। ঘাটে বাসের চেয়ে ছোট গাড়ির চাপ বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে এ রুটে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।