দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় শতভাগ শিক্ষিত মানুষের রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার ছবিতে ভরে যাচ্ছে ফেসবুকের নিউজফিড। অপরূপ সৌন্দর্যের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বাতাসে আগুনের ফুলকি উড়ছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের লাশ পড়ে আছে। ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে, রাতের আঁধারের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছে কয়েকটি প্রাসাদোপম বাড়ি। সেই ধ্বংসযজ্ঞের পাশেই উল্লাস করছে বিক্ষুব্ধ ও ধৈর্যহারা মানুষ। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন প্রবীণ নেতা ও সংসদ সদস্যকে গণপিটুনি দেওয়ার পর বিবস্ত্র করে ফেলার দৃশ্য। জনরোষের ভয়ে হেলিকপ্টারে করে পরিবার নিয়ে রাজধানী কলম্বো থেকে উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় শহর ত্রিঙ্কোমালিতে পালিয়ে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়া মাহিন্দা রাজাপাকসে। এমন পরিস্থিতিতে সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে যে সহিংসতা চলছে সেটি প্রত্যাশিত নয়, কেননা সহিংসতা শুধু ধ্বংসই ডেকে আনতে পারে। তেমনিভাবে গণদাবীকে উপেক্ষা করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার যে প্রবণতা, সেটিও কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়; অর্থাৎ সহিংসতা ও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রবণতা দুটোই নিন্দনীয়। এমতাবস্থায় দেশটি চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।