পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) পদমর্যাদার ৩২ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হয়েছেন।
বুধবার (১১ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকায় প্রথম নামটি হচ্ছে র্যাব- ৪ এর পরিচালক মোজাম্মেল হকের আর সর্বশেষ নামটি হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের।
এ ছাড়া আরও পদোন্নতি পেয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রেজাউল হক, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের মো. মনিরুজ্জামান, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম, র্যাবের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার, র্যাব ১০ এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমানস, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, রংপুর রেঞ্জের শাহ মিজান শফিউর রহমান, ডিএমপির সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ, নৌ পুলিশের মোল্যা নজরুল ইসলামসহ মোট ৩২ জন।
পুলিশ সদর দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গ্রেড-৩ পদমর্যাদার ডিআইজি পদে পুলিশের ৩২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবারের পদোন্নতির জন্য ১৮ ও ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনা করা হয়েছে। ডিআইজি পদে পদোন্নতির জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রায় ১৫০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা পাঠানো হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
সেখানে মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পর্যালোচনার পর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। ওই তালিকা পাঠানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, ডিআইজি হিসেবে একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক পদোন্নতি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এই প্রথম। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ডিআইজি পদে পদোন্নতি হয়।
এরপর গত প্রায় দেড় বছর এই পদে (ডিআইজি) কোনো পদোন্নতি হয়নি। সর্বশেষ পদোন্নতি হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।