অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দ্বিতীয় প্রয়াণবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. আনিসুজ্জামান
ফাইল ছবি

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের আজ ১৪ মে, শনিবার দ্বিতীয় প্রয়াণবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। তাঁর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে।

এবারের মৃ্ত্যুবার্ষিকী পালনে আজ বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মরণসভা ও আলোকচিত্রগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

universel cardiac hospital

বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সঙ্গীত সংগঠন সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

ড. আনিসুজ্জামান ভারতের মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি দেশের নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

শিল্পকলাবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা যামিনী, বাংলা মাসিকপত্র কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বরেণ্য এই গবেষক। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

তিনি ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি।

শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান একাধিক পুরস্কার পান। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।

শিক্ষায় অবদানের জন্য তাঁকে ১৯৮৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করা হয়। সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৫ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান।

তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দুইবার আনন্দবাজার পত্রিকার আনন্দ পুরস্কার, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট. ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক পেয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

শেয়ার করুন