রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাসের মূল্য দেশটির নিজস্ব মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করতে মস্কোর রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমে অ্যাকাউন্ট খুলেছে আরও ১০টি ইউরোপীয় কোম্পানি। এ নিয়ে ইউরোপের মোট ২০টি কোম্পানি গ্যাজপ্রমে অ্যাকাউন্ট খুলল।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে বেকায়দায় ফেলতে জেলেনস্কি সরকারকে অস্ত্র দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস। তবে এর জবাবে পাল্টা জীবাশ্ম জ্বালানিকে হাতিয়ার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে ফলও মিলতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, পুতিনের দাবি মেনে এখন পর্যন্ত ইউরোপের ২০টি কোম্পানি গ্যাজপ্রমে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলেছে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন জানিয়েছে আরও অন্তত ১৪টি ইউরোপীয় তেল কোম্পানি। এর ফলে রাশিয়ার হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩১ মার্চ থেকে ‘বন্ধু নয়’ এমন দেশগুলোর কাছ থেকে গ্যাসের অর্থ রুশ মুদ্রা রুবলে লেনদেনের নির্দেশ দেন। যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউক্রেনে সংঘাতের মধ্যে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ইইউ প্রাথমিকভাবে মস্কোর এই নতুন নিয়মকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ বলে আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন জানায়, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করে রুবলে রাশিয়ান গ্যাসের জন্য অর্থ পরিশোধের বিকল্প থাকতে পারে।
তবে ইউরোপের কিছু দেশ রুবলে অর্থ পরিশোধের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর জেরে এপ্রিলের শেষ দিক থেকে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় গ্যাজপ্রম।