তামিম ইকবালের সঙ্গে দারুণ জমে উঠেছিল জুটিটা। ৫১ রানের মাথায় জীবনও পেয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে পঞ্চাশের ঘরটা পার করতে পারলেন না তরুণ এই ওপেনার।
ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ফিরলেন আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হয়ে। ফার্নান্ডোর লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন জয়। ১৪২ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
জয়ের আউটে ভেঙেছে ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ওপেনিংয়ে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা জুটি। এই তালিকায় এক নম্বরে আছে ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে করা তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের জুটিটি।
তবে জয় ফিরলেও হোমভেন্যুতে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি তামিম। টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম শতক হাঁকিয়ে তিনি অপরাজিত আছেন ১০২ রানে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭২ রান।
সকালে বৃষ্টি হওয়ায় আজকের প্রথম সেশনে খানিক চ্যালেঞ্জই ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য। কিন্তু শ্রীলঙ্কার নখদন্তহীন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সুবাদে কাজটা সহজ হয়ে যায় তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েই শেষ করেন প্রথম সেশনের খেলা। সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ১৫৭ রান।
ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি করার পর ৮৫তম রান নেওয়ার সময় মুশফিকুর রহিমকে টপকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেছেন তামিম। আর ৬৩ রান করলে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রানের মালিক হবেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে আগেরদিন বিকেলে ১৯ ওভারে ৭৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ রমেশ মেন্ডিসকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করে লঙ্কানরা। তবে দিনের প্রথম ওভার থেকে ছড়ানো ফিল্ডিং দেওয়া হয় তামিমকে। সেই সুযোগটাও পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন এ অভিজ্ঞ ওপেনার।
বাহারি সব শটে ৭৩ বলে সাত চারের মারে ফিফটি তুলে নেন তামিম। অন্যদিকে মাহমুদুল জয়ের ফিফটি করতে লাগে ১১০ বল। মুখোমুখি ৮৬তম বলে চার মেরে ৪৮ রানে পৌঁছান জয়। এরপর ফিফটিতে পৌঁছতে খেলেন আরও ২৪ বল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়ার পথে ৮টি চার মারেন জয়।
ফিফটি করার পরপরই আসিথা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জয়। কিন্তু ফাইন লেগে সেটি হাতে রাখতে পারেননি লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। ফলে বোনাস বাউন্ডারি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর আর কোন ভুল করেননি তরুণ ওপেনার জয়। তামিমের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়েই শেষ করেন প্রথম সেশনের খেলা।
এই সেশনে ২৮ ওভার খেলে ৮১ রান করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুর ৯ ওভারেই ৪৭ রান নিয়ে ফেলেছিলেন তামিম ও জয়। পরের ১৯ ওভারে খানিক রয়েসয়ে খেলে যোগ করেন ৩৪ রান। এ দুজনের সুবাদে দীর্ঘ ৬২ মাস ও ৬১ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে চলতি টেস্ট থেকে ছিটকেই গেছেন প্রথম ইনিংসে শরিফুল ইসলামের বলে মাথায় আঘাত পাওয়া শ্রীলঙ্কার পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো। তার জায়গায় ম্যাচের বাকি অংশের জন্য কনকাশন সাব হিসেবে আরেক পেসার কাসুন রাজিথাকে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।