প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে বগুড়ার মহিলা দলের নেত্রীর আপত্তিকর বক্তব্যের জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বগুড়ার গাবতলীতে চলা এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদেরকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দুষছেন।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন গাবতলী পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও গাবতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, গাবতলী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম আর হাসান, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক ইসলাম এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম। গুলিবিদ্ধ চারজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গত শুক্রবার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ‘আপত্তিকর ও কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন। এর প্রতিবাদে আজ রোববার দুপুরে ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল’ বের করেন বগুড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে মিছিলে হামলা চালিয়েছে বিএনপি।
সংঘর্ষের বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের কয়েকটি গুলি ছুড়তে হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, শান্তিপূর্ণ সেই মিছিল সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটনের বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভেতর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ বা হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। উল্টো তারা আমাদের নেতাকর্মীদের মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছেন। এর প্রতিবাদে বিএনপি-যুবদল মিছিল বের করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, লাঠিপেটা করেছে।