ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশকে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। বাংলাদেশকে এ নিয়ে এর আগে তথ্যও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এটি নিয়ে আগে আলাপ করেছি এবং বিভিন্ন সময়ে তথ্য দিয়েছি।
গত মার্চে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রথমে এর কাঠামো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখন দুই দেশের মধ্যে যে সংলাপ হয়েছে সেখানে আলাদাভাবে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমার মতে বিষয়টি বিবেচনা করা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে যে চারটি ইস্যু রয়েছে তার সবগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি।
চার ইস্যু
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফোরাম মে মাসের ১৩ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি একটি নতুন ধারণা।
একবিংশ শতকের অর্থনৈতিক ছবি কেমন হবে তা বিবেচনায় নিয়ে এর নকশা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতো। যা শুল্ক হ্রাস ও বাজার প্রবেশাধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফোরামের চারটি মূল স্তম্ভ আছে।
প্রথমটি হচ্ছে সাপ্লাই চেইন। কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমরা দেখলাম আমাদের সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা যা চাই, যে দামে চাই এবং যখন চাই, তা পাচ্ছি না। অবশ্যই আমাদেরকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে- পরিছন্ন জ্বালানি ও কার্বন নিঃসরণ প্রতিরোধ। কারণ, আমরা সবাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সম্পর্কে জানি।
তৃতীয় হচ্ছে করমুক্ত নীতি এবং দুর্নীতি দমন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ শতাংশই দুর্নীতির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক ট্যাক্স হেভেন দেশ দেখছি এবং সেখান থেকে তারা লাভ করছে।
চতুর্থত হচ্ছে, ডিজিটাল ট্রেড ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়গুলো আগের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ছিল না। নতুনভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম অবস্থায় সীমিত কয়েকটি দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। তারা কাঠামো এবং চুক্তিগুলো কী হতে পারে তা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।
এছাড়া, ভবিষ্যতে নতুন সদস্য কে হতে পারে সেটি নিয়েও কথা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘আমার ধারণা এই চার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ থাকা উচিত। আমি আশা করি বাংলাদেশ এটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।’