নিমতলী ট্রাজেডির ১২ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিমতলী ট্রাজেডি
নিমতলী ট্রাজেডি। ফাইল ছবি

১২ বছর আগে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকায় নবাব কাটারার ৪৩ নম্বর বাড়িতে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি থেকে সৃষ্ট আগুন কেড়ে নেয় ১২৫ জন মানুষের প্রাণ। ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতি বছর ৩ জুন কুঁকড়ে উঠেন নিমতলীবাসী, স্বজনদের মনে করে আহাজারিতে ভেঙে পড়েন। এদিন তারা আপনজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দিনব্যাপী দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করেন।

দুর্ঘটনার পর আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের রাসায়নিক পদার্থের দোকান, গুদাম ও কারখানা অপসারণ করার কথা থাকলেও আজও তা হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।

নীমতলীর এই ট্রাজেডির পর টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে রাসায়নিকের গুদাম-কারখানা সরিয়ে নিতে করা হয় দুটি কমিটিও। কমিটি কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জায়গা ঠিক করার সুপারিশসহ উচ্চমাত্রার বিপজ্জনক ৫ শতাধিক রাসায়নিকের তালিকা করে প্রতিবেদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। এরপরে পুরান ঢাকায় আবারো আগুন লেগেছে। লাশের মিছিল দেখেছে পুরান ঢাকাবাসী।

২০১০ সালে দুর্ঘটনার পর আগুনে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারিভাবে এক লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু আগুনে পুড়ে যাওয়া মালপত্র নষ্ট হওয়া বাবদ সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে দেওয়া হয়নি কোনো ক্ষতিপূরণ। আহত লোকজন পান নি চিকিৎসার জন্য অর্থসাহায্য।

নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আপনজনদের হারিয়েছিলেন রুনা, রত্না ও আসমা। মা-বাবাসহ স্বজন হারানো এই মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উদ্যোগেই গণভবনে ৯ জুন তাদের বিয়ে দেয়া হয়। তারা এখন সবার কাছে শেখ হাসিনার মেয়ে বলেই পরিচিত।

শেয়ার করুন