সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

হুইসেল বাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসছে হাসপাতালে। আর সেই অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হচ্ছে পুড়ে যাওয়া একের পর এক মরদেহ। এ যেন লাশের মিছিল। সেই মিছিলে এখন পর্যন্ত যোগ হয়েছে ৩৭টি মরদেহ। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন।

এছাড়া আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।

শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

এরপর রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আসতে শুরু করে মরদেহ। এখনো এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। তবে ডিপোর আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ডিপো ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই আহত থাকায় সঠিক কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কন্টেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগুনের লেলিহান শিখা এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কেঁপে ওঠে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক বলেন, আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবো আমরা। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে।

এসময় তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন