চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে থাকা সেই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্স বা কোনো পক্সের উপসর্গ পায়নি মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. আবুল হোসেন।
এই চিকিৎসক বলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ওই বৃদ্ধার শরীরে ফোস্কা হতে পারে বলে মনে হয়েছে। তাকে সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওই কক্ষেই থাকবেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা গতকাল বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তার শরীরে মার্বেল ধরনের অসংখ্য ফোস্কা ছিল। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন ওই বৃদ্ধাকে দেখেন। ওই বৃদ্ধার শরীরে এক ধরনের পক্সের উপসর্গ দেখে বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানান।
পরে তাদের পরামর্শে ওই বৃদ্ধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে আবারও ওই বৃদ্ধাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডা. আওলিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- সার্জারি বিশেষজ্ঞ ওয়ালিউর রহমান নয়ন ও ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সোহরাব হোসেন। ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে কাজ শুরু তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান আবুল হোসেন বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) এই বৃদ্ধার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এটি মাঙ্কিপক্স বা কোনো পক্সই নয় বলে নিশ্চিত হয়েছি। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার শরীরে ফোস্কা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তবে খুব শিগগির তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশা করছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ রয়েছে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ রয়েছে বলে জানাজানি হলে জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
চিকিৎসকরা জানান, ওই বৃদ্ধা কোনো সময় বিদেশে ভ্রমণ করেননি। তাই এটিকে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বলা যাবে না।