‘মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় যে জুতার মালা পরানো হয়েছে সেটি ওনার একার গলায় নয়, আমার গলায় পরানো হয়েছে। সব শিক্ষকের গলায় পরানো হয়েছে। আমার দুঃখ হয়, আমরা শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষকের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারি না।’
এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রেণিকক্ষে ধর্ম অবমাননার মামলায় ১৯ দিন কারাভোগ করা স্কুলশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে হেনস্তার শিকার এই শিক্ষক এখনো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি–ধমকিও দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত ক্লাস নিতে দেখা যায়। সোয়া ১২টার দিকে ক্লাস শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আক্ষেপের সুরে হৃদয় মণ্ডল বলেন, আমাকে বিনা অপরাধে ১৯ দিন জেল খাটতে হয়েছে। এ ১৯টি দিন আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের দিন ছিল। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। আমি অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। কষ্ট ভোলার চেষ্টা করছি। ঠিক এমন সময় আবার অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় যে জুতার মালা পরানোর ভিডিও দেখলাম।
এখনই এ বিষয়ে সরকারকে কঠোরভাবে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়ে হৃদয় মণ্ডল বলেন, এমনটা চলতে থাকলে দেশে ভালো শিক্ষকের সংকট দেখা দেবে। ভালো মানুষেরা শিক্ষক হবেন না। নতুন প্রজন্মকে ভালো মানুষ বানানো যাবে না।