ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার করা এক পিটিশনের শুনানিতে আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত কিছু মন্তব্য করেছেন। খবর এনডিটিভির।
গত ২৬ মে এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে। বিজেপির দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালও মহানবী সম্পর্কে টুইটারে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
নূপুর শর্মার অবমাননাকর বক্তব্য এবং পরবর্তীকালে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এসব মন্তব্য করেছেন আদালত। মন্তব্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিচে তুলে দেওয়া হলো।
নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে করা অভিযোগগুলো (এফআইআর) দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন জানান তার আইনজীবী। তিনি বলেন, নূপুর শর্মা হুমকির মুখে রয়েছেন এবং কোথাও যাতায়াত তার জন্য এখন নিরাপদ নয়। জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, তিনি হুমকির মুখে রয়েছেন নাকি নিজেই নিরাপত্তা–হুমকি হয়ে উঠেছেন? যেভাবে তিনি দেশজুড়ে (ধর্মীয়) আবেগ উসকে দিয়েছেন, দেশে যা কিছু ঘটছে, তার জন্য এই নারী একাই দায়ী।
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, কীভাবে তিনি (নূপুর শর্মা) বিতর্ক উসকে দিয়েছেন, আমরা দেখেছি। কিন্তু যেভাবে তিনি পুরো বিষয়টি বললেন এবং পরবর্তীকালে নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিলেন, তা লজ্জাজনক। তার উচিত গোটা জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
দিল্লি পুলিশ ও বিতর্ক আয়োজনকারী টেলিভিশন চ্যানেলের প্রসঙ্গ টেনে সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ প্রশ্ন রেখে বলেন, দিল্লি পুলিশ কী ভূমিকা পালন করেছে? আমাদের মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না; কী নিয়ে টেলিভিশন বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছিল? একটা ইস্যু উসকে দিতে? কেন তারা একটি বিচারাধীন বিষয়কে বিতর্কের জন্য নির্ধারণ করেছিল?
সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, যখন আপনারা অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন, তারা তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার হন। যখন সেটা আপনাদের বিরুদ্ধে হয়, তখন আর কেউ আপনাদের স্পর্শ করার সাহস পায় না।