টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসেই এই কীর্তি প্রথম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রান এবং অন্তত ১০০ উইকেট পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তার অপরাজিত অর্ধশতকের পরও বাংলাদেশ ডোমিনিকায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেছে, যার ফলে ম্যাচের একমাত্র প্রাপ্তি হয়ে থেকেছে এই রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বপ্রথম ১ হাজার রান এবং ১০০ উইকেটের কীর্তিও ছিল সাকিবের, এবার সেই রেকর্ডটিকেই আরও উঁচুতে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বল হাতে পেয়েছেন ১ উইকেট, যেটি ছিল ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে সাকিবের ১২০তম উইকেট।
আর ব্যাট হাতে এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন সাকিব। এই ফরম্যাটে সবমিলিয়ে ১৭তম এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট হাতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজারি ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদের মোট রান এখন ২০২১। ২০০৫ রান নিয়ে তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডোমিনিকায় বাংলাদেশ ইনিংসের ১৯তম ওভারে ওবেদ ম্যাকয়কে হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানাছাড়া করে ২ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন সাকিব।
গত ৫ মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজারি ক্লাবে ঢুকেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, এই কীর্তি গড়তে তাকে খেলতে হয়েছিল ১১৫ ম্যাচ। সেই তুলনায় তার চেয়ে ১৭ ম্যাচ কম তথা ৯৮ ম্যাচ খেলেই এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব।
ডোমিনিকার উইন্ডসন পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার দিবাগত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৫ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাটিং ঝড়ে ১৯৩ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক উইন্ডিজ। সেই রান তাড়া করতে নেমে কখনোই ছন্দ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। সাকিব একাই এক প্রান্ত আগলে ৫২ বলে ৬৮ রান করেছেন।