বরিস ক্ষমতাচ্যুত হলে কে হতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বরিস জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন - ছবি: এএফপি

মন্ত্রিসভা থেকে একে একে ২৭ জন পদত্যাগ করার পর নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের চেয়ার। শিগগিরই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন তিনি। বরিস যদি পদত্যাগ করেন বা ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

লিজ ট্রাস
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির তৃণমূলে। তিনি ধীরে ধীরে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন। গত বছর লিজ ট্রাস একটি ছবি তুলেছিলেন, যেটি ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচারের ১৯৮৬ সালের এক ছবিকে মনে করিয়ে দেয়।

universel cardiac hospital

লিজ ট্রাসের বয়স ৪৬। বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। বরিস জনসনের এই টালমাটাল অবস্থায় তিনি বলেছেন, বরিসের প্রতি তাঁর শতভাগ সমর্থন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি বরিসের প্রতি সমর্থন জানাতে সহকর্মীদেরও আহ্বান জানান।

জেরেমি হান্ট
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে ছিলেন। তবে তিনি বরিস জনসনের পেছনে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, বরিসের নেতৃত্বে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর তিনি অপেক্ষাকৃত কম বিতর্কিত নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

৫৫ বছর বয়সী জেরেমি গত দুই বছর ধরে হেলথ সিলেক্ট কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ বছরের শুরুর দিকে জেরেমি বলেছিলেন, তাঁর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এখনো আছে। গত মাসে অনাস্থা ভোটে তিনি বরিসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ওই ভোটে সামান্য ব্যবধানে টিকে গেছেন বরিস জনসন।

বেন ওয়ালেস
সম্প্রতি কনজারভেটিভ দলের সবার কাছে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ৫২ বছর বয়সী ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ইউক্রেন-সংকট মোকাবিলায় তিনি যে ভূমিকা নিয়েছেন, এর জন্য সবাই তাঁর প্রশংসা করেছেন।

বেন ওয়ালেস সাবেক সেনাসদস্য হিসেবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, সাইপ্রাস ও সেন্ট্রাল আমেরিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হন। বেন ওয়ালেস তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ১৯৯৯ সালে।

ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের সাবেক অর্থমন্ত্রী ছিলেন ঋষি সুনাক। গত বছরও তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। করোনা মহামারির সময় তিনি শক্ত হাতে অর্থনীতি সামলানোর জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তবে তাঁর ধনাঢ্য স্ত্রীর কর নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও পড়েছেন। এ ছাড়া লকডাউনের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করেও সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন।

গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন ঋষি সুনাক। পদত্যাগের কারণ হিসেবে বলেছেন, নিয়ম মেনে দক্ষতার সঙ্গে সরকার পরিচালিত হবে এমনটাই আশা করে জনগণ এবং এটিই ন্যায়সংগত। আমি বিশ্বাস করি, সরকার পরিচালনার সঠিক মানদণ্ডের জন্য আমাদের লড়াই করা জরুরি। আর এ জন্যই আমি পদত্যাগ করেছি।

শেয়ার করুন