চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক পদে আবেদনকারীদের মূল আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রেজিস্ট্রার অফিস থেকে উপাচার্য দপ্তর গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই। কিন্তু ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণকালে উপাচার্যকে সেই নথিপত্রগুলো প্রদর্শন করা যায়নি। এ নথি উপাচার্য দপ্তর থেকে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে এ রকম কোনো রেকর্ডও নেই।
নিয়োগ নিয়ে অডিও কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে নথিগুলো গায়েব করেছেন। আর কর্মচারী আহমদ হোসেন বিভিন্ন প্রার্থীকে ফোনকল করে লেনদেনের কথা বলেছিলেন। প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে ফাইল গায়েব হওয়ার সম্পৃক্ততা আছে বলে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
যদিও ফাইল গায়েবের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা তদন্ত কমিটি বের করতে পারেনি। তাই এ ঘটনার জন্য উপাচার্য দপ্তরের তৎকালীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়ী করে তাদেরকে সতর্কীকরণ পত্রসহ প্রশাসনিক ভবনের বাইরে বদলির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে খোদ উপাচার্যের দপ্তর থেকে ফাইল গায়েবের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপাচার্যের দপ্তরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, উপাচার্যের দপ্তর থেকে ফাইল গায়েবের ঘটনা গুরুতর অপরাধ। আগে কখনো এমনটা ঘটেনি। এর সঙ্গে জড়িতদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। বদলি কোনো শাস্তি না, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম। প্রয়োজনে আবার তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হোক।