নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে দলটির নেতারা দিঘলিয়া সাহাপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বেলা ২টা পর্যন্ত তারা ওই এলাকায় ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় নড়াইল-১ (কালিয়া-সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা সাহাপাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও মন্দির দেখতে যান। তারা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষে দলটির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নগদ এক লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি মন্দিরে এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
সভায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, হাজার বছরের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ইতিহাস আমাদের, সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে হাজার বছর বসবাস করার সংস্কৃতি আছে। দেশটি আমাদের সবার, প্রতিটি মানুষের। একটি গোষ্ঠী ভিন্ন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আঘাত করতে চায়। তারাই সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। তখন একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। হামলা হয় পারিবারিক মন্দিরেও। এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া অভিযুক্ত তরুণের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা করে ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে নয়টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।