রপ্তানিতে বছরের শুরু ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্য রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস, জুলাইয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে জুলাইয়ের রপ্তানি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার ইপিবি এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।

universel cardiac hospital

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে বাংলাদেশ ৩৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪৭ কোটি ডলার। এ ক্ষেত্রে আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত জুলাইয়ে সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৯২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৬ কোটি ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

তবে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে রপ্তানি প্রায় ১০০ কোটি ডলার কমে গেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৮ কোটি ডলারে।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, তাতে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যাচ্ছে। এতে সেসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বাড়তি খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এতে ওই সব দেশে নিত্যপণ্যের বাইরে অন্যান্য পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। সেখানে বিক্রি কমলে তার প্রভাবও এ দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের ওপর পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।

জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মাসটিতে নিট ও ওভেন মিলিয়ে ৩৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ২৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তবে সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ।

শেয়ার করুন