পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে করাচির দিকে যাওয়ার সময় দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার নিখোঁজ হয়েছে। হেলিকপ্টারটিতে কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা অবস্থান করছিলেন। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) এক টুইটার পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর জিও নিউজের।
আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, বেলুচিস্তানের লাসবেলাতে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হেলিকপ্টারটি রওনা করেছিল। পরবর্তী সময়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হেলিকপ্টারটির।
আইএসপিআরের টুইটার পোস্টে আরও বলা হয়, ১২ কর্পসের কমান্ডারসহ ৬ জন ব্যক্তি হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন। তারা বেলুচিস্তানে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেতে অভিযান চলছে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।
নিজস্ব অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারটির পাইলট মেজর সাঈদ এবং কো–পাইলট মেজর তালহা। এ ছাড়া কোয়েটার কর্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সরফরাজ আলি, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আমজাদ, প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার খালিদ এবং প্রধান নায়েক মুদাসসিরও ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসন বলেছে, উইন্দার এলাকায় সাস্যি পুন্নু মন্দিরের কাছে একটি বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি ওই হেলিকপ্টার কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি আইএসপিআর।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হেলিকপ্টারটি কম উচ্চতা দিয়ে উড়ছিল, এরপর তা নিখোঁজ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে জানা গেছে, সূর্যাস্তের কয়েক মিনিট আগে হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হয়েছে। পুলিশের উপমহাপরিদর্শক জেনারেল খুজদার পারভেজ ইমরানি বলেছেন, স্থানীয় পুলিশ সদস্যরাও হেলিকপ্টারটি খোঁজার চেষ্টা করছেন। পার্বত্য এলাকা হওয়ায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হচ্ছে।