তাইওয়ানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ভূত সংকট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযত আচরণের আহ্বান জানানো হয়, যাতে এখানে কোনো শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট না হয়।
পোস্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ‘ওয়ান চায়না’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে এবং ইউএন চার্টার ও সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষকে মতভেদ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যানসি পোলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থানকে বুঝবে এবং সমর্থন করবে ঢাকা।
তিনি বলেন, চীন বিশ্বাস করে এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা।
চীনের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার মতো মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে উভয় দেশ সবসময় একে অপরকে বোঝে এবং সমর্থন করে। ‘ওয়ান-চায়না’ নীতি এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্টি জানায় চীন।
স্পিকার পেলোসির এ সফর তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার পাশাপাশি এ অঞ্চলে টেনশন ও সংঘাত ডেকে আনতে পারে এবং এর ফলে সারা বিশ্ব আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে চীনের কড়া হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ান সফরে আসেন ৮২ বছর বয়সী পেলোসি। ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ তিনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ ও নিরাপত্তা উদ্বেগে পড়েছে চীন।