ফিফা বিশ্বকাপ ২০৩০ সালে শতবর্ষে পা দেবে। ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল উরুগুয়ে। শতবর্ষের আসরও আয়োজন করতে চায় দেশটি। তবে এককভাবে নয়। দক্ষিণ আমেরিকার চার দেশ মিলে স্বাগতিক হতে চায়। সেজন্য ফিফার কাছে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, চিলি ও প্যারাগুয়ে আসরটি আয়োজনের প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
বিশ্বকাপের শতবর্ষী আসরটি আয়োজন করার ব্যাপারে উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল আশাবাদী। তাদের মতে, ফুটবল বিশ্বকাপ চার বছর পরপর আসবে। অন্যরা তা আয়োজন করার সুযোগও পাবে। কিন্তু শতবর্ষী আসর বারবার আসবে না। এটা তাই অবশ্যই উরুগুয়েতে হওয়া উচিত।
কনমেবল প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার ডমিনগেজ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের শতবর্ষী আসর আয়োজন করা এই মহাদেশের স্বপ্ন। অনেক বিশ্বকাপ যাবে আসবে, কিন্তু শতবর্ষের বিশ্বকাপ একবারই আসবে। এটা উরুগুয়েতে হওয়া জরুরি।’
১৯৭০ সালের পর ব্রাজিল ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু চিলি ১৯৬২ এবং আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালের পর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি। তারাও দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আয়োজনে মুখিয়ে আছে।
উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইগনাসিও আলোনসো বলেছেন, বিশ্বকাপ যেখানে শুরু হয়েছিল একশ’ বছর পরে আসরটি সেখানেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এটা উরুগুয়ের অধিকার।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ের বড় প্রতিপক্ষ হতে পারে স্পেন এবং পর্তুগাল। ইউরোপের এই দুই দেশও যৌথভাবে আসরটি আয়োজন করতে চায়। এছাড়া ব্রিটিশ ও আয়ারল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী ছিল। তবে তারা ২০২৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ পাওয়ার লড়াইয়ে মন দিয়েছে।