শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর (৬ আগস্ট) থেকে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনের ভাড়া দ্রুত সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। তা না হলে যাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পরিবহন নেতারা বলছেন, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় না হলে সড়কে তার প্রভাব পড়বে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো
একাধিক বাস মালিক জানান, যে হারে লিটারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে হারে ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। লস দিয়ে কেউ সড়কে গাড়ি নামাবে না। ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যদি বাসে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হয়, তাহলে সমস্যা হবে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সরকারকে দ্রুততম সময়ে ভাড়ার বিষয়টি সুরাহা করতে হবে।
তেল নিতে রাজধানীর পাম্পগুলোতে ভিড়
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকরা ভাড়া না বাড়ানোর আগ পর্যন্ত গাড়ি রাস্তায় নামাতে রাজি নন। এতে করে শনিবার সকাল থেকে গণপরিবহন সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ যাত্রীদের ওপর। বিশেষ করে অফিসগামীরা ভোগান্তির সম্মুখীন হবেন।
শনিবার থেকে চট্টগ্রামে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত
মহাখালী বাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা চাই তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভাড়া পুর্নির্ধারণ হোক। আমরা বাস মালিকদের বলেছি তারা যেন তাদের গাড়ি রাস্তায় নামান।
তেল না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ৮৯ টাকার অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ৮৬ টাকার পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, ৮০ টাকার ডিজেল ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ এবং ৮০ টাকার কেরোসিন ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকায় বিক্রি হবে।