পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে প্রাচীন ঠাকুরপাড়া বৌদ্ধবিহার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম সোনাইছড়ি ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন ঠাকুরপাড়া বৌদ্ধবিহারটি পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে পড়েছে। গতকাল বুধবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢলের পানিতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। তাতে বিহারটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধ ও প্রাচীন বিহারটির সুরক্ষায় স্থায়ী প্রতিরক্ষাদেয়াল তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সেখানকার ভিক্ষু ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে দুর্গম সোনাইছড়ি ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি বান্দরবান জেলায় হলেও সব ধরনের যোগাযোগ কক্সবাজারের রামুর ঈদগড় ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন দিয়ে।

সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের অদূরে ঠাকুরপাড়া গ্রাম। ঠাকুরপাড়ায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ১৫৬টি পরিবারের বসবাস। ইউনিয়নের আরও পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক প্রাচীন এই বৌদ্ধবিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ঠাকুরপাড়া বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ উইন্দা ভিক্ষু বলেন, ১৭২৩ সালে বিহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মূলত বিহারকে ঘিরে আশপাশে বসতি গড়ে উঠেছে। ১০ বছর ধরে বিহারের উত্তর পাশে পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়া শুরু হয়। এখন ঝুঁকি আরও বাড়ছে। বর্তমানে পাহাড় ভাঙতে ভাঙতে বিহারের সিঁড়ির গোড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। কিন্তু এই ভাঙন ঠেকানোর সামর্থ্য স্থানীয় মানুষের নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা দরকার।

সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য থোয়াইপ্রু মারমা বলেন, ৩০০ বছর আগে পাহাড়চূড়ায় নির্মিত এই বৌদ্ধবিহার আগে কাঠের ছিল। জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে সাত বছর আগে কাঠের বিহারটি ভেঙে গ্রামবাসীর চাঁদা দিয়ে পাকা করা হয়। এখনো কাজ বাকি আছে। কিন্তু বিহারের উত্তর পাশে পাহাড়ে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন চিন্তিত।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, পাহাড়ধসের কবল থেকে বিহারটি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাচীন এই বৌদ্ধবিহার পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে। বিহারটির সুরক্ষা তাই জরুরি।

শেয়ার করুন