বাংলাদেশে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভুল করে ২০১৩ সালের ভিডিও ফুটেজকে ২০২২ সালের ঘটনা ভেবে শেয়ার করছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় বিভিন্ন জিনিস পোড়ানো হচ্ছে, বিস্ফোরক ছোড়া হচ্ছে এবং পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়, ওয়াল স্ট্রিট সিলভার নামের এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ আগস্ট ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। পোস্টে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশ…সরকার মধ্যরাত থেকে পেট্রলের দাম ৫১ শতাংশ এবং ডিজেলের দাম ৪২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশজুড়ে পেট্রল স্টেশনগুলোতে প্রচুর ভিড় হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।’ এ টুইটটিতে হাজারো লাইক পড়তে দেখা গেছে।
ফেসবুকেও ভিডিওটি ছড়াতে দেখা গেছে। একজন ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন ‘বাংলাদেশ…সরকার মধ্যরাত থেকে পেট্রলের এবং ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।’
তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে রয়টার্স দেখেছে এটি ২০২২ সালের বিক্ষোভের ঘটনা নয়। ভিডিওটি ২০১৩ সালের মে মাসের।
বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ‘ফ্যাক্ট চেক: ভিডিও ডাজ নট শো ২০২২ ফুয়েল প্রটেস্টস ইন বাংলাদেশ, ইট ডেটস টু ২০১৩’ শিরোনামে ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে রয়টার্স। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসংকটের মধ্যে বাংলাদেশে সম্প্রতি লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ৫১.২% বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, ৯৫–অকটেনের দাম ৫১.৭% বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে আজ শুক্রবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামাজিক গণমাধ্যমে চালানো দেশবিরোধী একটি মিথ্যা অপপ্রচার ধরা পড়েছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়।’
ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।