ইউক্রেনের পথে-ঘাটে পড়ে আছে অবিস্ফোরিত মাইন গোলা-বারুদ

মত ও পথ ডেস্ক

ছবি : ইন্টারনেট

বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকির মুখে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। দেশটির বিশাল এলাকাজুড়ে পড়ে আছে হাজারো অবিস্ফোরিত মাইন এবং গোলা-বারুদ। রাসায়নিকের কারণে দূষিত হচ্ছে বাতাসও।

এরইমধ্যে মাইন অপসারণের কাজ শুরু করেছে ইউক্রেন। তবে দেশটির আশঙ্কা, পরিস্থিতি আগের মতো করতে অন্তত সাত বছর সময় লাগতে পারে।

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। কিছু স্থানে রুশ আগ্রাসনের তাণ্ডব থামলেও এখনও রয়ে গেছে যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন। জল কিংবা স্থল সর্বত্রই পড়ে আছে অবিস্ফোরিত মাইন, গোলা-বারুদ, দূষিত হয়েছে বাতাসও। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

ইউক্রেনের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সোফিয়া সাদগুরস্কা বলেন, শুধু মাইনই নয়; বোমা আর রকেট হামলার কারণেও এলাকাগুলো দুষিত হয়েছে। অতীত যুদ্ধগুলোর ইতিহাস থেকে জানা যায়, যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে দশকের পর দশক লেগে যায়। অনেক জায়গাই এখন বসাবাসের অনুপযুক্ত।

জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সামি অঞ্চল। এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেকই দূষণের শিকার। এছাড়া রাজধানী কিয়েভের অনেক এলাকাই এখন বসবাসের অযোগ্য।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্টিরেস্কি বলেন, যুদ্ধে সামি শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই শহরের ৪৭ শতাংশ এলাকাই দূষিত। অর্থাৎ শহরটির অর্ধেকই দূষণের শিকার। অন্যদিকে, দূষিত হয়েছে কিয়েভের ২৫ শতাংশ এলাকা।

ইউক্রেনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মাইন, গোলাবারুদ অপসারণে ৮৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকেই, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে শুরু হয়েছে ডিমাইনিং কার্যক্রম। কর্তৃপক্ষ বলছে, মাইন অপসারণ করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এজন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। ধারণা করছি, এ কাজে আমাদের কমপক্ষে ৭ বছর সময় লাগবে। অন্যান্য স্থানের তুলনায় পানি থেকে মাইন অপসারণ কঠিন।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের ২৭ শতাংশ এলাকা থেকে মাইন অপসারণ প্রয়োজন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে দেশটির ৬৭ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার যুদ্ধ সরঞ্জাম অপসারণ করা হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

শেয়ার করুন