চা–শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি: সমঝোতায় ঢাকায় বসছে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

চা–শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পঞ্চম দিন আজ। ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সারাদেশে চা–শ্রমিকেরা তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার চা–শ্রমিকনেতাদের নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর দিনব্যাপী বৈঠক হয়। শ্রীমঙ্গলের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় ওই কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক কথা রয়েছে। তিন পক্ষের ওই বৈঠকে যোগ দিতে চা–শ্রমিকনেতারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

আজ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা–বাগানে সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকেরা এক জোট হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। শ্রমিকেরা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চা–বাগানে বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল করছেন। আজ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা–বাগানে সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকেরা এক জোট হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। শ্রমিকেরা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চা–বাগানে বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, একটি বড় আশা নিয়ে আমরা ঢাকায় যাচ্ছি। আশা করছি, বৈঠক থেকে মালিকপক্ষ আমাদের শ্রমিকদের দুঃখ–দুর্দশার কথা চিন্তা করে মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবে।

তিনি বলেন, গতকাল সারাদিন আমরা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি আমাদের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ করে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। আমরা সেটা মানিনি। পরে তিনি আবার আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় আজ ঢাকায় মালিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেন। আমরা বৈঠকের প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত সারাদেশের চা–শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবে না।

মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুস শহীদ বলেন, কিছুদিন আগেও চা–শ্রমিকদের মজুরি ৫০০ টাকার দাবি আমি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছি। আমি আজ বিভিন্ন চা–বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিদাওয়া শুনেছি। এ বিষয়ে বাগানমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

শেয়ার করুন