স্বাধীনতা দিবসে নেহরুর ছবি বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গে সামনে চলে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধ। স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৫ আগস্টের প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল ছবিটির পরিবর্তন করেন এবং ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে যাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের ছবির একটি কোলাজ উপস্থাপন করেন। খবর এই সময়ের।

তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলে কোলাজটি ব্যবহার করে। তবে ওই ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে বাদ দিয়েছেন। বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা।

ভারতে হিন্দু ও জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে এখনো তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে। এর কারণ নেহরু তাঁর সময়কালে বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন এবং যে কোনো ধরনের হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানকে ভারতের সংবিধানে বা সরকারি কাজকর্মে স্থান দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করেছেন।

এই কারণে ভারতের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেমন মোহনদাস গান্ধী বা সুভাষচন্দ্র বোস প্রমুখকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলো কাছে টেনে নিলেও, জওহরলাল নেহরুকে কখনোই তাঁরা মানতে পারেননি।

এদিকে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার একটি তালিকা প্রকাশ করে ভারতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামীদের নাম উল্লেখ করেছে। সেখানেও তারা জওহরলাল নেহরুর নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে জওহরলাল নেহরুর নাম সরিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেসের অনেক নেতাই। কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের নেতা সিধারামাইয়া বলেন, নেহরুর নাম বাদ দেওয়ার জন্য রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসাবারাজ বোম্বাইয়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

শেয়ার করুন